শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।

ধামরাইয়ে বলাৎকারের পর শিশুকে হত্যা: র‌্যাব

আরমান হোসেন খানঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে কালামপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ৭ বছরের শিশু নিখোঁজের একদিন পর মরদেহ উদ্ধার ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা আল আমিন (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪। শিশু জিসান কে বলৎকার করে হত্যা করা হয় স্বীকারোক্তি দিয়েছে হত্যাকারী আল আলিম।

এর আগে গত ০৯ জুন ২০২৪ তারিখ বিকালে ভিকটিমের পিতা তার ৭ বছরের শিশু নিখোঁজের বিষয়ে র‍্যাব-৪, সাভার ক্যাম্পে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দাখিল করেন।

পরে ১০ জুন ২০২৪ তারিখ বিকালে জানা যায় যে, ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাজার সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে জঙ্গলের ভিতরে একটি শিশুর নিথর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক মরদেহ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এবিষয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, আসামী আল আমিন পেশায় একজন চোর। চুরির পাশাপাশি সে ছিনতাই ও ডাকাতির সাথেও জড়িত। আসামী নিয়মিত মাদক হেরোইন, ইয়াবা ও গাঁজা সেবনেও করে থাকে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সে ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে থাকে।

আসামী গত ০৯ জুন ২০২৪ তারিখ বিকেলে ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর এলাকায় গেলে সেখানে সে ভিকটিম শিশুটির গলায় রুপার চেইন পরিহিত অবস্থায় খেলতে দেখতে পায়। এ সময় আসামী কৌশলে ভিকটিম শিশুটিকে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী ভিকটিম শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে বলাৎকার করে তার গলায় থাকা রুপার চেইনটি খুলে নিয়ে শিশুটির পরিহিত প্যান্টের রশি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে এবং শিশুটি মাথার অংশ কাদা যুক্ত মাটির নিচে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে আসামী ভিকটিমের গলায় পরিহিত রুপার চেইনটি নিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য যে, একই এলাকায় গত ০৫/০৬ মাস পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামী চুরির ঘটনায় ধরা পড়ে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত