রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
দোহার নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহার উপজেলা হাসপাতালের ডাঃ জসিমের অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে ফুসে উঠতেছে জনগন। সুদির্ঘ ২০ বছরের অধিক সময় ধরে এই হসপিটালের দায়িত্বে বসে আছেন এই ডা: জসিম। অথচ সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রতি তিনবছর পর পর কর্মস্হল হতে বদলীর বিধান থাকলেও জসিমের বেলায় যেন সেটা কেতাবে আছে খুতিতে নাই অবস্থা। একজন বিসিএস ক্যাডার অফিসার আইনের প্রতি তোয়াক্কা নাকরে তিনি বিগত সরকারের এমপি সালমান এফ রহমানের সাথে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসুচিতে সরব থাকতেন। হসপিটালটাকে তিনি আওয়ামীলীগের অফিস বানিয়ে ফেলেছিলেন। সাধারন ডাক্তারা তার এহেন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হতে আপত্তি জানালে তিনি তাদের বদলি সহ নানা রকম শাম্তিমুলক ব্যাবস্হা নিতেন। ডাঃ জসিম হসপিটালের খাবারের টেন্ডার বেনামে নিজেই পরিচালনা করেন। নিজে একজন সরকারি ডাক্তার হয়েও হসপিটালের গেটে প্রাইভেট ক্লিনিক( ল্যাব কেয়ার) পরিচালনা করে যাচ্ছেন। করোনার সার্টিফিকেট যেটা ১০ টাকা দিয়ে পাওয়ার কথা সেটা কৌশলে তিনি ৩০০ টাকা দিয়ে মানুষকে নিতে বাধ্য করাতেন তার মনোনিত ফটোকপির দোকান থেকে। টাকার বিনিময়ে তিনি আউটসোর্সিংয়ের ১১ জন লোক নিয়োগ দিয়ে ছিলেন যাদের অনেকেই তার নিকট আত্মীয়। অভিযোগ আছে উপজেলার সকল ডাক্তারতের তিনি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন যেন তার ক্লিনিক ছাড়া অন্য কোন ক্লিনিকে কোন টেষ্ট না পাঠানো হয়। সিজারের রুগী জোড় করে তার ক্লিনিকে ভর্তির অভিযোগ হরহামেশাই পাওয়া যায়। করোনাকালীন সময়ে সরকারের অনুমতি ছাড়াই নিজের ইচ্ছে মতো ৯৮ লক্ষ টাকার করোনার ঔষধ সহ অন্যান্য সামগ্রী কেনাকাটায় তার নামে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু সকরারি দলের সরাসরি হস্তক্ষেপে সেই অভিযোগ হালে পানি পায়নি। আওয়ামীসরকারের পতনের পরে এই চতুর ডাঃ জসিম এখন ভোল পাল্টে বিএনপি সাজার নাটক করে যাচ্ছে। ডাঃ জসিমের দ্বারা নির্যাচিত একাধিক ডাক্তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা অবিলম্বে তাকে দোহার থেকে দ্রুত অপসারনের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায়। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে দোহার উপজেলার জনসাধারণ ডাঃ জসিমের অনিয়ম আর দুর্নিতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতেছে। তাকে যদি দ্রুত দোহার উপজেলা হাসপাতাল থেকে অপসারন নাকরা হয় যে কোন সময় একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে।