শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
মো:শাহজাহান,কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
প্রয়োগে উদাসীনতা ও যথাযথ নজরদারির অভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল কাপ্তাই রেঞ্জের মূল্যবান গাছ উজাড় বন্ধ হচ্ছে না। বন বিভাগের এক শ্রেণির অসাধুদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে সবুজ বেষ্টনীর বিক্রয় নিষিদ্ধ গাছ-গাছালি কেটে প্রতিনিয়তই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংরক্ষিত বনাঞ্চল-খ্যাত রাঙামাটির কাপ্তাই রেঞ্জ উজাড় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে অন্তত ২টি স’মিল চালু রয়েছে বলে জানা গেছে। বন থেকে গাছ চুরি করে এসব স’মিলে চিড়ানোসহ নৌ ও সড়ক-পথে বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
প্রভাবশালী এ চক্রটি প্রতিনিয়ত গাছ চুরির পাশাপাশি সংরক্ষিত বনের ভেতরে স’মিল বসানোর কারণে বিরানভূমিতে পরিণত হচ্ছে পাহাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহল জানিয়েছেন, মূলত কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঠ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট চক্র আরো বেপরোয়া হয়ে ইলেকট্রিক করাতের সাহায্যে স্বল্প সময়ে রিজার্ভ ফরেস্টের মূল্যবান গাছগুলো কেটে হ্রদের পানিতে ফেলে দেয়। পরে সেগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় টেনে নিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এরপর বনবিভাগের কতিপয় স্টাফদের যোগসাজশে গাছগুলোকে রাতের অন্ধকারে বাজারজাত করে কাঠ ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে বনবিভাগের এক শ্রেণির কর্মচারী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের অনেকেই ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাপ্তাই রেঞ্জের অধীনস্থ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের নিজস্ব মালিকানাধীন এসব স’মিলে শতশত ঘনফুট গাছ চিড়াই করা হয়। এছাড়া সেখানে প্রতিদিনই কয়েক লাখ টাকার চোরাই কাঠের ব্যবসা চলে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রতিদিন বাংলাদেশকে বলেন, আমি ঈদের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছি, আমার অনুপস্থিতে রাম পাহাড় বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হান মাসুদকে দায়িত্ব দিয়ে এসেছি।
এদিকে বর্তমানে কাপ্তাই রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান বলেন, ঈদের আগের দিন রাতে লোকবল কম থাকায় বনবিভাগের লোকজনের চলাচল সীমিত রাখা হয়। তাই অনেক সময় গাছ কেটে নিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। এসব নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের স্টাফদের জন্য খুবই দুরূহ।