বুধবার, ২৫ Jun ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
এখন ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে: তারেক রহমান ২০১৮ সালের নির্বাচন ◼️শতভাগ ভোট পড়া কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ইসিতে দুদকের চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডিজেলের দাম কমলো লিটারে ২ টাকা, পেট্রল-অকটেনে ৩ টাকা জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী সংস্কারবিরোধী আমলাদের অপসারণে কর্মসূচি ঘোষণা বাজারে আসছে নতুন নোট, পাওয়া যাবে যেদিন থেকে ইশরাকের কর্মসূচি ৪৮ ঘণ্টা স্থগিত, ‘সরকারের অবস্থান’ দেখে সিদ্ধান্ত কোরবানির গরুর দাম কেমন এ বছর কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেট কমিটি ২০২৫

বন্যার্তদের জন্য ধানের চারা, সবজির বীজ ও মাছের পোনা তৈরি করছেন শিক্ষার্থীরা

শ্রাবণী চৌধুরী,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বন্যায় মৎস্য খাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী—চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের ১২টি জেলার শুধু মৎস্য খাতের ক্ষতিই ১ হাজার ৫৯০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তাই বিনা মূল্যে ধানের চারা, সবজির বীজ ও মাছের পোনা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

মৎস্য খাতকেও গুরুত্বঃ
দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধান ও সবজি বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে এলেও মৎস্য খাত নিয়ে তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই দিকটি নিয়েও ভেবেছেন। মৎস্যবিজ্ঞান, একুয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্সের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে মাছের পোনা উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাটি কিছুটা শক্ত হলে মাছের পোনা বিতরণের কাজ শুরু করব। এ জন্য আমরা ইতিমধ্যে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একটা তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি। মাছের পোনার ক্ষেত্রে তেলাপিয়া ও কার্প–জাতীয় অন্যান্য মাছের পোনা বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা।’

এগিয়ে চলছে চারা উৎপাদনঃ
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সহায়তায় বীজ সংগ্রহ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে শুরু হয়েছে আমন ধানের বীজতলা তৈরির কাজ। আগে যেখানে বাণিজ্যমেলা হতো, সেই মাঠেও বিভিন্ন সবজির চারা উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। সবজির ক্ষেত্রে আলু, মরিচ থেকে শুরু করে কিউকারবিট নিয়েও কাজ চলছে। তবে বড় পরিসরে কাজ করতে প্রয়োজন অর্থ। অর্থের সংস্থান এখনো পুরোপুরি না হলেও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় সেটির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী হিসেবে ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য আমাদের আরও কিছু দায়বদ্ধতা আছে। সে জায়গা থেকেই শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগগুলো নিয়েছে। আমরা শিক্ষকেরা আমাদের জায়গা থেকে সব সময়ই সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত