বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
শ্রাবণী চৌধুরী,ঢাকাঃ
আলোচিত মুনিয়া হত্যারহস্য ফাঁস হয়েছে। কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তারের পর তার প্রতারণা, নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেলের নানা ঘটনা সামনে চলে আসার পর উঠে এসেছে মুনিয়া হত্যার প্রকৃত ঘটনাটিও। সম্প্রতি ‘ক্রাইম এডিশন’ নামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদনে ইউটিউবার ও ব্লগারদের আওয়ামী লীগের পক্ষে জোরপূর্বক কাজ করানো থেকে শুরু করে আফ্রিদির নানা কুকীর্তির বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। ফাঁস হওয়া একাধিক ফোনালাপ ও ভুক্তভোগীদের দেওয়া বক্তব্যে জানা যায়, মুনিয়ার সঙ্গে আফ্রিদির ঘনিষ্ঠতা কেবল ব্যক্তিগত সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ ছিল না।
ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি হলে মুনিয়াকে নির্মমভাবে আফ্রিদি হত্যা করে। এ তথ্য প্রকাশ করেছেন আফ্রিদির প্রতারণা ও লালসার শিকার আরেক নারী। এটি মুনিয়ার মৃত্যুর রহস্য নতুন দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। চাঞ্চল্যকর তথ্যে পুলিশ ও গোয়েন্দা নড়েচড়ে বসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৌহিদ আফ্রিদি এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ডিসি ডিবি হারুনের সঙ্গে। হারুনকে তিনি চাচা বলে সম্বোধন করতেন। এ তিনজনকে নিয়মিত নারী সাপ্লাই দিতেন। তাদের শেল্টারেই তৌহিদ আফ্রিদি নানা কুকীর্তি করে যেতেন।
তাদের দাপটেই মুনিয়া হত্যার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেওয়া হয় বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা।
ক্রাইম এডিশনের ভিডিও প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর আফ্রিদি হঠাৎ করেই তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। পরে তাকে ডিবি অফিসে ডেকে গায়েব করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ফলে সংসার করার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় তার। ‘ক্রাইম এডিশন’ এর প্রতিবেদনে ওই নারী আরও বলেন, ‘আমি জানতে পারি, বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তার (আফ্রিদি) সম্পর্ক আছে।
মুনিয়া নামের একটা মেয়ে আছে, তার সঙ্গেও আফ্রিদির সম্পর্ক। এগুলো জেনে ওর সঙ্গে আমি একটু রাগারাগি করি। এটা স্বাভাবিক, আমার একটু খারাপ লাগতেই পারে। আমি যেহেতু ওকে ভালোবেসে ফেলেছি। তো, ওকে আমি বলার পরে খুব বাজেভাবে রিঅ্যাক্ট নেয়। একসময় এরকমও বলে, মুনিয়ার যেরকম অবস্থা হয়েছে, আমারও ঠিক সেরকম অবস্থা হবে। মানে, ইনডিরেক্টলি ও আমাকে হত্যার হুমকিই দেয়। ’