শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৩২ নম্বরের বাড়ি কুশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সভা অনুষ্ঠিত ৪০নং মহিশাষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে ইসির কাছে জানতে চেয়েছে ইইউ ধামরাইয়ে মুসল্লিদের দাবির মুখে প্রথমে ওরস বন্ধ,ভাঙা হলো মাজার জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৪ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত এ বছরের মাঝামাঝিতেই নির্বাচন চায় বিএনপি আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কাহিনী সারা বিশ্ব জেনে গেছে◾ মুরাদ

ধামরাইয়ে মুসল্লিদের দাবির মুখে প্রথমে ওরস বন্ধ,ভাঙা হলো মাজার

প্রতিদিন ডেস্কঃ
ঢাকার ধামরাই উপজেলার একটি মাজারের ৬৬তম ওরস চলাকালে প্রথমে সেটির কার্যক্রম বন্ধ ও পরবর্তীতে সেটি ভেঙে দিয়েছেন একদল মুসল্লি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙচুরের ঘটনায় ধামরাই ওলামা পরিষদ ও ধামরাই ইমাম পরিষদের নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকটি মসজিদ ও মাদ্রাসার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের অর্জুন নালাই গ্রামে প্রয়াত শুকুর আলী শাহ ফকিরের (রহ:) মাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে শুকুর আলীর দুই ছেলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেরে অন্যত্র চলে গেছেন।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মাজারটিতে ৬৬তম ওরস আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণ শেষে রাতে বাউল গান হওয়ার কথা ছিল। তবে বিকেলের দিকে ধামরাই ওলামা পরিষদ ও ইমাম পরিষদের নেতৃত্বে একদল মুসল্লি মাজারের কয়েক গজ দূরের পার্শ্ববর্তী অর্জুন নালাই জামে মসজিদে জড়ো হন। তারা ওরস ও গানের আয়োজন বন্ধের দাবি জানান। রাত ৮টার দিকে পুলিশ এসে মুসল্লিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় ওরস সংশ্লিষ্টদের ওরসের আয়োজন বন্ধের কথা জানালে তারা ওরস বন্ধ করেন।

এরপর মুসল্লিরা ওরসের আয়োজকদের গ্রেপ্তার ও মুচলেকা নেওয়ার দাবি জানান। পুলিশ তাতে সায় দেয়নি। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় মুসল্লিদের নেতৃত্ব দেওয়া ইমামরা এই মাজার চিরতরে বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করবেন জানিয়ে মসজিদ ত্যাগ করেন। এরপর রাত ১০টার দিকে সেখানে উপস্থিত অন্য ৫০-৬০ জন মুসল্লি দলবেঁধে মাজারটিতে ঢুকে মাজার ভেঙে গুড়িয়ে দেন। সেখানে থাকা দুটি কবরসহ বসতবাড়ির একটি টিনের ঘর সম্পূর্ণ ভাঙচুর ও অপর একটি ঘরের বেড়ার টিন ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মাজার সংশ্লিষ্ট বাড়ির বাসিন্দারা প্রাণ ভয়ে বাড়িটি ত্যাগ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত