শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই ◾ প্রেস সচিব উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধ করার আহ্বান অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত ৩১ দফা এবং ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ এর পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ ৬৬টি দেশি সংস্থা পেল নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা নিতে হবে, ‘দলীয়’ উপদেষ্টাদের বাদ দিতে হবে

প্রতিদিন ডেস্কঃ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য সরকারের মধ্যে কোনো দলীয় লোক থেকে থাকলে তাঁদের অপসারণ করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাইউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্র উপদেষ্টাদের সরানোর দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাঁরা নির্দিষ্ট কারও কথা বলেননি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক বিষয়ে কতগুলো উদ্বেগ নিয়ে আলাপ করার জন্য তাঁরা এসেছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই মুহূর্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে। তিনি বলেন, এ জন্য প্রথমেই প্রয়োজন প্রশাসন যে পুরোপুরি নিরপেক্ষ, সেই ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করা।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশাসনে এমন কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা পুরোনো সরকারের স্বার্থ পূরণ করছেন। তাঁদের অপসারণের জন্য তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন। সচিবালয়ে ফ্যাসিস্টের চিহ্নিত দোসরদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন। জেলা প্রশাসনেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পুলিশের নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে পুলিশকে একদম নিরপেক্ষ অবস্থায় নেওয়ার জন্য তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন। তিনি বলেন, যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা সবকিছুর দায়িত্বে রয়েছেন, তাই বিচার বিভাগেও নিরপেক্ষ বিচারকদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত