শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৩২ নম্বরের বাড়ি কুশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সভা অনুষ্ঠিত ৪০নং মহিশাষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে ইসির কাছে জানতে চেয়েছে ইইউ ধামরাইয়ে মুসল্লিদের দাবির মুখে প্রথমে ওরস বন্ধ,ভাঙা হলো মাজার জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৪ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত এ বছরের মাঝামাঝিতেই নির্বাচন চায় বিএনপি আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কাহিনী সারা বিশ্ব জেনে গেছে◾ মুরাদ

হ্যারি পটারের ইনভিজিবিলিটি ক্লোক বানিয়ে ফেললো চীন

প্রতিদিন ডেস্কঃ
কমবেশি সকলেরই হ্যারি পটারের জাদুর দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় রয়েছে । জে কে রাওলিংয়ের অমর সৃষ্টি এই নভেল সিরিজ। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের তালিকায় অন্যতম হিসাবে নাম রয়েছে হ্যারি পটারের।

বইয়ের পাশাপাশি হ্যারি পটারের গল্পকে কেন্দ্র করে আটটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে। হলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে যার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন চরিত্রগুলির কলাকুশলীরাও।

হ্যারি পটারের বইগুলির পাতায় পাতায় রয়েছে চমক। জাদুবিদ্যাকে এমন আকর্ষণীয় ভাবে গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপিত করেছেন লেখক, যা আট থেকে আশি কাউকেই নিরাশ করে না।

সেই হ্যারি পটারে ব্যবহৃত একটি ‘অস্ত্র’ এবার হাতে পেল চিন। সৌজন্যে তাদের গবেষক চু জুনহাও। তিনি সম্প্রতি একটি অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার করেছেন, যা বিজ্ঞানী মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে।

লেখকের কল্পনাকে বাস্তবে সত্যি করে তুলেছেন চিনের ওই গবেষক। তিনি বানিয়ে ফেলেছেন বাস্তবের ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’। এটি এক ধরনের পোশাক, হ্যারি পটারের সাতটি বই জুড়ে যার একাধিক চমকপ্রদ ব্যবহার লক্ষ করা গিয়েছে।

কি এই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’?

চিনা গবেষকই বা আসলে কী করে দেখালেন? জে কে রাওলিংয়ের কাহিনি অনুযায়ী, এটি একটি জাদু-পোশাক যা পরলে যে কোনও ব্যক্তি অদৃশ্য হয়ে যান। তাকে আর দেখা যায় না। চোখের সামনে ঘোরাফেরা করলেও তার উপস্থিতি দেখতে পাবেন না কেউ।

চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আলোর তারতম্যকারী অত্যাধুনিক উপাদান (অ্যাডভান্সড লাইট ম্যানিপুলেটিং মেটেরিয়াল) দিয়ে এই বিশেষ ‘ক্লোক’ বানিয়েছেন চু জুনহাও। প্রথাগত দৃশ্যমানতার নিয়মকে যা চ্যালেঞ্জ করে। প্রকাশ্যে তা ব্যবহার করেও দেখানো হয়েছে।

‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর মধ্যে দিয়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যেন আলোকে ধোঁকা দিয়েছেন চিনা গবেষক। যা খালি চোখে দেখা যায় আর যা দেখা যায় না, তার মধ্যেকার সুক্ষ্ম পার্থক্য তিনি আবছা করে দিয়েছেন।

চু জুনহাওয়ের এই আবিষ্কারকে ‘যুগান্তকারী’ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। বাস্তবে এর প্রয়োগ হতে পারে মারাত্মক। এমনকি সামরিক কাজেও এই পোশাক ব্যবহার করতে পারে চীন।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’ ব্যবহার করে সবার আগে অদৃশ্য ঘর তৈরির দিকে নজর দিতে পারেন চিনা কর্তকর্তারা । তা যদি সম্ভব হয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হবে। এমনকি, সামরিক কাজেও তা লাগানো হতে পারে। এই ধরনের ‘অস্ত্র’ আগে কখনও কোনও দেশের হাতে পড়েনি।

‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’ সামরিক কাজে ব্যবহার করা হলে যে কোনও সংঘর্ষ বা যুদ্ধে প্রথম থেকেই কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবে শি জিনপিংয়ের দেশ। চিনা যোদ্ধারা বাস্তবিক ‘অদৃশ্য’ হয়ে যুদ্ধ করতে পারবেন। ভবিষ্যতে তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্যবেক্ষকেরা।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর ব্যবহার পুরোদমে চালু হলে অপটিক্যাল টেকনোলজির এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। এই প্রযুক্তি বদলে দিতে পারে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংজ্ঞা।

একাধিক গোপন সামরিক অভিযানে ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর ব্যবহার বেজিংয়ের হাতে তুলে দিতে পারে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। আগামী দিনে এটি নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আমূল বদলে ফেলতে বাধ্য করবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে শুধু সামরিক নয়, ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর ব্যবহার চালু হলে তার দ্বারা রাজনীতি, সমাজ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, বিজ্ঞানেরও প্রভূত উন্নতির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

চীনা গবেষকের আবিষ্কার এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তার ব্যবহার চালু হয়নি। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে আগামী দিনে এটি বেজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী ‘অস্ত্র’ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

হ্যারি পটারের ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’ ছিল অভেদ্য এবং অক্ষয়। মানুষ তো বটেই, কোনও পশুপাখিও তার পিছনে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিকে দেখতে পেত না। এই পোশাক নষ্ট হত না। বছরের পর বছর ধরে তা একই অবস্থায় রয়ে গিয়েছিল।

চিনে তৈরি ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এ অবশ্য কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেগুলিকে আপাতত উপেক্ষাই করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। ‘যুগান্তকারী’ তকমা পেয়ে গিয়েছে চু জুনহাওয়ের সৃষ্টি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত