বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শাহাবুদ্দিন মৃধা,সিলেটঃ
পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট জেলায় পনিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রায় চার লাখ মানুষ। বাড়িঘরে পানি উঠে পড়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছেন প্রায় চার হাজার মানুষ। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আরো বৃষ্টি হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় ১৩ উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের বন্যা বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সিলেট নগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি।
এদিকে, সিলেটে দ্বিতীয় দফায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানিয়েছেন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকাল ৬টার দিকে কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার এবং সিলেট শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জের আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
এছাড়া সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বইছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। সারি-গোয়াইন নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।