শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৩২ নম্বরের বাড়ি কুশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সভা অনুষ্ঠিত ৪০নং মহিশাষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে ইসির কাছে জানতে চেয়েছে ইইউ ধামরাইয়ে মুসল্লিদের দাবির মুখে প্রথমে ওরস বন্ধ,ভাঙা হলো মাজার জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ কুশুরা আব্বাস আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৪ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত এ বছরের মাঝামাঝিতেই নির্বাচন চায় বিএনপি আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কাহিনী সারা বিশ্ব জেনে গেছে◾ মুরাদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই

আরমান হোসেন খান,চীফ রিপোর্টারঃ
ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ছেলে মাহী বি. চৌধুরী তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় গত ২ অক্টোবর সকালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেদিন তার মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানান যে, তার বাবা আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজেস ভুগছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছিলেন ছেলে মাহী বি চৌধুরী। তিনি বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন।
খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। নিজ বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়াহাটায়। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

বি. চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে ১৯৭৮ সালে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
২০০৪ সালের ৮ মে বি. চৌধুরী বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি দলটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তার সহধর্মীনির নাম হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী। অধ্যাপক চৌধুরী দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। তার বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী পেশায় একজন ব্যারিস্টার। ছোট মেয়ে শায়লা চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক এবং ঢাকার উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন। একমাত্র ছেলে মাহী বি. চৌধুরী রাজনীতিবিদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত