বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
জেরিন সুলতানা, ঢাকাঃ
জালিয়াতি, প্রতারণা ও অসত্য তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে যাঁরা সরকারি ভাতা নিয়েছেন, তাঁদের সেই ভাতা সুদে-আসলে ফেরত নেবে সরকার। একই সঙ্গে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। প্রতারণার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা যাঁরা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন, তাঁদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত আট হাজার বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আগামী সপ্তাহ থেকে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হবে। এসব ব্যক্তির কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা ফেরত নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা রাখা হবে। এ বিষয়ে ‘সরকারি পাওনা আদায় আইন, ১৯১৩’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রতিদিন বাংলাদেশকে বলেন, সরকারি ভাতা সুদে-আসলে ফেরত নেওয়ার পরামর্শ, সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত এসেছে ১২ জুন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে। আগামী রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতারণার মাধ্যমে সংগ্রহ করা আট হাজার “মুক্তিযোদ্ধা সনদ” আমরা বাতিল করেছি। আমরা জানি, ভাতা আদায়ের বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন। আমরা প্রত্যেকের জন্য একটি করে ফাইল খুলব। একেকজন একেক সময়ে ভাতা নিয়েছেন, কে কত টাকা নিয়েছেন সেটি যেমন খুঁজে বের করতে হবে, একইভাবে কার সুপারিশে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছিলেন, সেটাও আমরা অনুসন্ধান করব। এ বিষয়ে মামলা হতে পারে, রিট হতে পারে; কিন্তু আমরা সরকারি টাকা আদায় করে ছাড়ব।’