শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
ইমরান হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য ও শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানা কারণে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা দলে ফিরতে চান। এর আগে উপজেলা নির্বাচন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে বিএনপি। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে শতাধিক নেতাকর্মী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জমা দিয়েছেন। অনেকে দলীয় পদ ফিরে পেতে আবেদন জমা দিয়েছেন। এরই মধ্যে গত সোমবার চার নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। পদ ফিরে পাওয়া এসব নেতাকে কয়েক বছর আগে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবার পাঁচ থেকে সাত বছর আগে অনেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করলেও তারা পদ ফিরে পাননি। নতুনভাবে যারা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন, সেগুলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হচ্ছে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার বিষয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত জানাবেন। সম্প্রতি নতুনভাবে ১০৮ নেতাকর্মী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কালবেলাকে বলেন, বর্তমান অবৈধ জন-ম্যান্ডেটহীন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এর পরও যারা নির্বাচন করেছেন, তাদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে সিদ্ধান্ত দেবেন।
সদ্য সমাপ্ত চার ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় দলটির হাইকমান্ড। এর পরও তৃণমূলের বেশকিছু নেতাকর্মী দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারী এসব নেতাকে পর্যায়ক্রমে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সারা দেশে এমন ২২৫ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার কারণে দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণের মাধ্যমে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। নির্বাচন বর্জন ও জনগণকে ভোটদানে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সারা দেশে কয়েক লাখ লিফলেট বিতরণ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। পথসভা, হাটসভা, কর্মিসভা এবং বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। এতে বিএনপির ডাকে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষমতাসীন দলের একতরফা উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে বলে বিএনপির নেতারা মনে করেন।