শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
ইমরান হোসেন,(ঢাকা)
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১২ জুন) সংরক্ষিত আসনের এমপি বেগম ফরিদা ইয়াসমিনের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত জোটের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়। মামলাটির তদন্ত শেষে মোট ৫২ জন আসামীর বিরুদ্ধে উল্লিখিত আইনে ২টি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামীর মধ্যে ৩৪ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবু-দের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এ মামলায় রায় ঘোষণার আগে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামীর মধ্যে ৩ জন আসামীর অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১, ঢাকার বিজ্ঞ বিচারক গত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামীর সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। আসামীর মধ্যে ৩৪ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবু-দের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।