শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
আরমান হোসেন খানঃ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশে বিক্ষুব্ধ জনতা বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব থানার কার্যক্রম। রবিবার বিকেল পর্যন্ত দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
চালু হওয়া থানাগুলোর মধ্যে মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৯৭টি এবং জেলা পুলিশের ৫০২টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি ৪০টি থানাও যেন দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে থানাগুলোতে পুরোদমে কার্যক্রম চালু করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সারা দেশে ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ৯৭টি এবং জেলার ৫২৯টি থানার মধ্যে ৫০২টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর সারা দেশে চারশ’র বেশি থানা আক্রান্ত হয় বলে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
এর মধ্যে বহু থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশের অনেক সদস্য হতাহত হন। ফলে জীবনের নিরাপত্তাসহ বেশকিছু দাবিতে ‘কর্মবিরতি’ শুরু করে পুলিশ।
পরে ৮ আগস্ট সন্ধ্যার মধ্যে সব ইউনিটের সদস্যকে কাজে যোগদান করতে নির্দেশ দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। এর পরপরই পুলিশ সদস্যরা ধীরে ধীরে কাজে ফিরতে শুরু করেন।