রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
প্রতিদিন ডেস্কঃ
বিশ্বমঞ্চে তিনজনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষ দিকে তাদের বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক বলে পরিচয় করে দেন তিনি। তবে এই তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় সম্পর্কে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তি সবার ‘অপরিচিত’ এবং গণআন্দোলনের অংশ ছিলেন না, এমন অভিযোগে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মঞ্চে যাদের ডাকা হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি এবং তৃতীয় তরুণ। সামজিক মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে জানা যাচ্ছে, ওই তরুণের নাম জাহিন রোহান রাজিন, এবং তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ নন। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আর আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে পড়া ওই ব্যক্তি ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘অসৎ লোক’। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ওই ব্যক্তি তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। আমরাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতাম না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারো সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। তিনি লিখেছেন, স্যার আমাদের মঞ্চে ডাকলে হুড়মুড় করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে তিনি (আলোচিত ব্যক্তি) দৌড়ে যান। তখন আমি তাকে মঞ্চে ওঠা থেকে ঠেকাতে পারিনি, যদিও আমি সন্দিহান ছিলাম। বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে আমি তখন অসহায় ছিলাম।
মনে হচ্ছে, এটি ছিল ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর পূর্বপরিকল্পিত কাজ। ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো সতর্ক থাকবেন বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।