শুক্রবার, ০৪ Jul ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকার দোহারে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা শেখ হাসিনার প্রতি আচরণ বদলাচ্ছে ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করলো ভারত সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকদের বরখাস্তের দাবি ট্রাম্পের তিন জাতীয় নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন এখন ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে: তারেক রহমান ২০১৮ সালের নির্বাচন ◼️শতভাগ ভোট পড়া কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ইসিতে দুদকের চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডিজেলের দাম কমলো লিটারে ২ টাকা, পেট্রল-অকটেনে ৩ টাকা জিয়াউর রহমানের আজ ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী

ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা, যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন ডেস্কঃ
নির্বাচনি জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি একজন প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট, তার উপর এ ধরনের হামলা করা, আমরা এটার নিন্দা জানাই অবশ্যই।

চীন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে রবিবার (১৫ জুলাই) বিকালে গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা তাদের গণতন্ত্র নিয়ে অনেক গর্ববোধ করে। আমরাতো গুলি-বোমা খেয়ে অভ্যস্ত, অনবরত খাচ্ছি- সেখানে একজন অপনেন্টকে এভাবে গুলি করা, তাও আবার সে সাবেক প্রেসিডেন্ট, সে খুব অল্পের জন্য বেঁচে গেছে কিন্তু, তার একেবারে কানের উপর দিয়ে চলে গেছে, যদি একটু এদিকওদিক হত, সে আর বাঁচত না। আমেরিকার মতো সভ্য দেশে, যারা গণতন্ত্রের এত বড় প্রবক্তা, সে দেশে এই ঘটনা ঘটবে কেন? এটি তো আমাদের প্রশ্ন।

তিনি বলেন, মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের দেশে যে দোষারোপ করার চেষ্টা, তাদের এখান থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। তবে এই ঘটনাটা সত্যি খুব দুঃখজনক। একমাত্র প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট, তাকে এভাবে হামলা করা বা ইয়ে করা, তারা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

রয়টার্স জানিয়েছে, নির্বাচনি প্রচারের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তার ডান কান চিরে যায় এবং তিনি মঞ্চে বসে পড়েন। ওই মুহূর্তের ভিডিওতে দেখা যায়, গুলির শব্দে নিরাপত্তারক্ষীরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর ট্রাম্পযখন আবার উঠে দাঁড়ান, তার কান থেকে গালের পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়তে দেখা যায়। এসময় তিনি বলছিলেন,“ফাইট! ফাইট! ফাইট!”

হামলাকারীর গুলিতে সমাবেশে আসা এক রিপাবলিকান সমর্থকের প্রাণ গেছে, গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুজন। পরে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার গুলিতে ওই পুরুষ আততায়ী নিহত হয়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিসের একবিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এফবিআই জানিয়েছে, ট্রাম্পের দিকে গুলিবর্ষণকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস ও তার বয়স ২০ বছর। ক্রুকস ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার। ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে গুলির ঘটনায় আপাতদৃষ্টিতে নিরাপত্তার গাফিলতিই বড় কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের দিকে আঙুল তুলছেন অনেকে, প্রশ্ন উঠছে তাদের দায়িত্ব নিয়েও।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত