বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
সাইদুল হাসানঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, বর্তমানে সারাদেশে মোট ইটভাটার সংখ্যা ৬ হাজার ৮৭৬ টি। এর মধ্যে বেশ কিছু ইটভাটা অবৈধ, যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। বিগত ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইটভাটার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩৩৮ টি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ৪ হাজার ৪৩৬ টি মামলা দায়ের করে ৯৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং অবৈধ ১ হাজার ১৮০টি ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (১৩ জুন) এমপি ননী গোপাল মণ্ডলের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেবার পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে, যেখানে পরিবেশ দূষণ রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবৈধ, অনুমোদনহীন ও পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটা বন্ধে কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। উক্ত অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার আওতায় নূন্যতম ৫০০টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ বায়ুদূষণের অন্যান্য উৎস চিহ্নিত করে যথাযথ কার্যক্রম নেবার নির্দেশনা রয়েছে।
কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর বিগত ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় গত ৩০ মে পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৬৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫৭৯ টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২৪৯ টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমে অবৈধ ইটভাটাকে গুরুত্ব দিয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)- এর আলোকে সরকার বায়ুদুষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমানোর উদ্দেশ্যে সড়ক ও মহাসড়ক ব্যতীত সব সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ইটের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বেষ্ট (বাংলাদেশ এনভাইরামেন্টাল সাসটেনেবলিটি প্রজেক্ট, বিইএসটি) প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণের মাধ্যমে প্রণোদনা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।