রবিবার, ০৬ Jul ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি যোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা ঢাকার দোহারে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা শেখ হাসিনার প্রতি আচরণ বদলাচ্ছে ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করলো ভারত সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকদের বরখাস্তের দাবি ট্রাম্পের তিন জাতীয় নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন এখন ‘মব জাস্টিস’ নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে: তারেক রহমান ২০১৮ সালের নির্বাচন ◼️শতভাগ ভোট পড়া কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে ইসিতে দুদকের চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডিজেলের দাম কমলো লিটারে ২ টাকা, পেট্রল-অকটেনে ৩ টাকা

আশুলিয়া থানায় ওসির চেয়ারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

আরমান হোসেন খানঃ
সাভারের আশুলিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) চেয়ারে বসে আছেন নীল রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি। তাকে ওসি মনে করে কয়েকজন কথা বলতে যান। পরে জানা গেল তিনি ওসি নন, আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার ওরফে জিল্লুর মাস্টার।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, থানায় এখনও ওসির পোস্ট খালি। ওসির কক্ষে বর্তমান পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কক্ষটি ফাঁকা পেয়ে ওই নেতা চেয়ারে বসে পড়েন। আমরা ছোট চাকরি করি, তাই আমাদের কিছুই বলার নাই।

তারা আরও বলেন, ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এলেও ওসির কক্ষে বসেন। ওই সময় যদি কোনো কর্মকর্তা থানায় এলে তো ওসি তদন্ত স্যার মহাবিপদে পড়তেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিল্লুর রহমানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি থানার নতুন ওসি? থানায় তো ওসির পোস্টটি খালি।

জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ওসি তদন্ত বসার অনুমতি দিয়েছেন, এ জন্য বসেছি। পরে
পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান সেখানে উপস্থিত হন এবং ওই নেতাকে প্রশ্ন না করার অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, জিল্লুর রহমানের এক ভাইয়ের নামে ও তার এক কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এ জন্য তিনি থানায় গিয়েছেন।

ওসির চেয়ারে বসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ওসির চেয়ারে যে বসেছেন এটা আমি জানি না। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। হয়তো কোনো কর্মকর্তা তাকে বসতে বলেছেন, তাই তিনি বসেছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত