শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে চান? আপনি যদি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে আগ্রহী হন সুযোগ আছে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই ◾ প্রেস সচিব উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে আজ ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধ করার আহ্বান অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত ৩১ দফা এবং ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ এর পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা ট্রাম্পের চোখ বন্ধ ছবি ঘিরে বিতর্ক, যা বলছে হোয়াইট হাউস সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ ৬৬টি দেশি সংস্থা পেল নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন

আশুলিয়া থানায় ওসির চেয়ারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

আরমান হোসেন খানঃ
সাভারের আশুলিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) চেয়ারে বসে আছেন নীল রঙের পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি। তাকে ওসি মনে করে কয়েকজন কথা বলতে যান। পরে জানা গেল তিনি ওসি নন, আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার ওরফে জিল্লুর মাস্টার।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, থানায় এখনও ওসির পোস্ট খালি। ওসির কক্ষে বর্তমান পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বসেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার কক্ষটি ফাঁকা পেয়ে ওই নেতা চেয়ারে বসে পড়েন। আমরা ছোট চাকরি করি, তাই আমাদের কিছুই বলার নাই।

তারা আরও বলেন, ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এলেও ওসির কক্ষে বসেন। ওই সময় যদি কোনো কর্মকর্তা থানায় এলে তো ওসি তদন্ত স্যার মহাবিপদে পড়তেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জিল্লুর রহমানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি থানার নতুন ওসি? থানায় তো ওসির পোস্টটি খালি।

জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ওসি তদন্ত বসার অনুমতি দিয়েছেন, এ জন্য বসেছি। পরে
পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান সেখানে উপস্থিত হন এবং ওই নেতাকে প্রশ্ন না করার অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন বলেন, জিল্লুর রহমানের এক ভাইয়ের নামে ও তার এক কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এ জন্য তিনি থানায় গিয়েছেন।

ওসির চেয়ারে বসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ওসির চেয়ারে যে বসেছেন এটা আমি জানি না। উনি একজন শিক্ষিত মানুষ। হয়তো কোনো কর্মকর্তা তাকে বসতে বলেছেন, তাই তিনি বসেছেন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত