বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
আরমান হোসেন খান,চীফ রিপোর্টারঃ
হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব শ্যামাপূজা বা কালীপূজা আজ। একইসঙ্গে আজ উদযাপিত হবে শুভ দীপাবলি উৎসব। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের মাধ্যমে ভক্তের জীবনে কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে দেবী শ্যামা বা কালীর।
হিন্দু পুরাণ মতে, দেবী কালী-দুর্গারই একটি রূপ। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালীদেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডী, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
অন্য হিন্দু পুরাণ অনুসারে ১৪ বছর বনবাসের পর এ রাম অযোধ্যায় ফেরেন। সেদিন পুরো অযোধ্যা সেজে উঠেছিল আলোয়। তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে, ফুলের রঙ্গোলি সাজিয়ে রামচন্দ্রকে স্বাগত জানিয়েছিল গোটা অযোধ্যাবাসী। সেই থেকেই এদিন দেশ জুড়ে পালিত হয় দীপাবলি উৎসব।
আবার মহাভারতে অনুসারে, নবকাসুরকে বধ করে কৃষ্ণ অসুরের বন্দিনী ৬০ হাজার গোপিনীকে উদ্ধার করেন এ অমাবস্যার রাতেই। পরে তাদের সবাইকে কৃষ্ণ বিবাহও করেন। কৃষ্ণের ভক্ত-অনুগামীদের কাছে ঐ গোপিনীদের মুক্তির স্মরণ উৎসবই দীপাবলি।
এছাড়াও কালী পূজার দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করতে সন্ধ্যায় বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। একে দীপাবলি বলা হয়।
ছবিতে ঢাকা জেলা অন্তর্গত ধামরাই থানার কুশুরা ইউনিয়ন এর-কুশুরা টোপেরবাড়ী(সাহা ও রাজবংশী) সম্প্রদায়ের মহা শ্মশান ঘাট কালী মন্দির।